শুক্রবার, ০৪ Jul ২০২৫, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
আবনায়ে ক্বাদিম সাকিতপুর মাদরাসার কমিটি গঠন সমাজ ও রাষ্ট্রের দুষ্টচক্রকে নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জমিয়তের প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের হেভিওয়েট প্রার্থী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ দিরাই পৌরসভার বাজেট পেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মাদকের চালান আটক দিরাইয়ের সেনা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪, গুলিতে নিহত নিরীহ আবু সাইদ হেফাজতে ইসলাম মিডল‍্যান্ডস শাখা গঠন: সভাপতি মাওলানা এখলাছুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা এনামুল হাসান সাবীর লন্ডন মহানগর জমিয়তের ঈদ পুনর্মিলনী ও কার্যনির্বাহি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হত্যার হুমকির শিকার শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য, থানায় জিডি
অনিয়মে গণমাধ্যম মালিকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ লাখ টাকা জরিমানা

অনিয়মে গণমাধ্যম মালিকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ লাখ টাকা জরিমানা

আমার সুরমা ডটকম:

গণমাধ্যম কর্মীদের চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়মের জন্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন, ২০১৮’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এই আইনটি ভিন্নভাবে ছিল, দ্য নিউজ পেপার এমপ্লয়িজ কন্ডিশন সার্ভিস অ্যাক্ট-১৯৭৪ এই আইনের আওতায় এগুলো চলত। এটার সঙ্গে শ্রম আইনের ওভারল্যাপিং হয়। সাংবাদিকদের শ্রম আইনের আওতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং ডেফিনেশনের মধ্যে শ্রমিক হিসেবে ডিফাইন করা হয়েছিল। ওই অংশটি ওখান থেকে বেরিয়ে এখানে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা গণমাধ্যমে কাজ করবে তারা গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পরিচিত হবেন।’

শফিউল আলম বলেন, ‘এই আইনে কোন ধারা বা আইনের অধীনে প্রণীত বিধি লঙ্ঘন করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ জন্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। জরিমানা আদায় না হলে আদালত জেল দিতে পারবে।’

খসড়া আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘গণমাধ্যম কর্মীর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে কর্মরত পূর্ণকালীন সাংবাদিক, কলাকৌশলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কর্মচারী বা নিবন্ধিত সংবাদপত্রের মালিকাধীন ছাপাখানা এবং বিভিন্ন বিভাগে নিয়োজিত কর্মী। সম্প্রচার কর্মী হচ্ছেন, সম্প্রচারে কাজে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত গণমাধ্যমের কর্মী।’

তিনি বলেন, ‘প্রযোজক, পাণ্ডুলিপি লেখক, শিল্পী, ডিজাইনার, কার্টুনিস্ট, ক্যামেরাম্যান, অডিও ও ভিডিও এডিটর, চিত্র সম্পাদক, শব্দ ধারণকারী, ক্যামেরা সহকারী, গ্রাফিক্স ডিজাইনারসহ পেশাজীবীরা যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের কলাকুশলী বলা হবে।’

আইনে পরিদর্শন কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিদর্শন কমিটির সদস্যরা পরিদর্শক হিসেবে গণ্য হবেন। পরিদর্শন কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রত্যেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব চাকরিবিধি থাকবে, যা এই আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন করতে হবে। নিয়োগের একবছর পর থেকে ভবিষ্য তহবিলে মাসিক চাঁদা দিতে পারবেন। আগে দুই বছর চাকরি হলে ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা দিতে পারতেন। সর্বনিম্ন ৮ ও সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ অর্থ এই তহবিলে জমা রাখা যাবে। আগে ৭ শতাংশ অর্থ জমা রাখা যেত। মালিককে সমহারে টাকা রাখতে হবে।’

নতুন আইনে সপ্তাহে কর্মঘণ্টা ৪৮ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৩৬ ঘণ্টা করা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘এর থেকে বেশি কাজ করালে ওভারটাইম দিতে হবে। আগে ১০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি বাড়িয়ে ১৫ দিন করা হয়েছে। অর্জিত ছুটি ৬০ দিনের বদলে ১০০ দিন করা হয়েছে। ১১ দিনে একদিন করে জমা হবে।’

‘প্রত্যেক গণমাধ্যমকর্মী চাকরির ১৮ ভাগের এক ভাগ সময় পূর্ণ ওয়েজে অসুস্থতাজনিত ছুটি পাবেন। এক্ষেত্রে নিবন্ধিত রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্র থাকতে হবে।’

গণমাধ্যম কর্মীরা এককালীন বা একাধিকবার সর্বোচ্চ ১০ দিন উৎসব ছুটি পাবেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নারীদের জন্য সরকারি বিধি অনুযায়ী অর্থাৎ ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। আগে আট সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি পেতেন নারী গণমাধ্যমকর্মীরা।’

‘খসড়া আইন অনুযায়ী গণমাধ্যম কর্মীরা তিন বছর পর পর পূর্ণ বেতনসহ শ্রান্তি বিনোদন ছুটি পাবেন। গণমাধ্যমকর্মী বিধিমালা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা পাবেন। গণমাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রচলতি আইন অনুসরণ করে নীতিমালা প্রণয়ন করে অভিযোগ নিরসন পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য প্রজ্ঞাপন দিয়ে সরকার ওয়েজবোর্ড গঠন করবে। ওয়েজবোর্ডের সিদ্ধান্ত সকল গণমাধ্যম মালিককে পালন করতে হবে।’

শফিউল আলম বলেন, ‘যদি কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নিকট একজন গণমাধ্যম কর্মীর বকেয়া পাওনা থাকে তবে গণমাধ্যম কর্মী বা তার লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, মৃত গণমাধ্যম কর্মীর ক্ষেত্রে তার পরিবারের কোনো সদস্য বকেয়া পাওনা আদায়ে যথপোযুক্ত আদালতে মামলা করতে পারবেন।’

নতুন আইনে গণমাধ্যম কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি, এটি বিধি দিয়ে নির্ধারণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com